সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ খরচের যা বহর দেখাচ্ছে তা কপালে চোখ ওঠার মতো।ছাড়িয়ে গেছে ফেলে আসা সব বিশ্বকাপের রেকর্ড। ২১ আসর আর ৯২ বছর পর প্রথমবার মরুর বুকে বসছে বিশ্বকাপ।তবে পশ্চিমা বলয়ে আটকে থাকা ফিফা থে কে অনুমোদন পেতে কম ঘাম ঝরাতে হয়নি কাতারকে।
কিন্তু কিভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলো আরব দেশটি? এক কথায় পেট্রো ডলার।সফল আয়োজনে খরচে কোন কমতি রাখেনি কাতার। হিসাবও তাই বলছে।২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজনে যেখানে রাশিয়ার খরচ যেখানে হয়েছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। সেখানে এবার কাতারের ব্যয় দুইশো বিশ বিলিয়ন। টাকার পরিমাণে যা প্রায় ১৮ লাখ ৯৭ হাজার কোটি।এই অর্থের সিংহভাগ ফুটবলার ও সমর্থকদের সুবিধা দিতে খরচ করা হচ্ছে। ৩২টা দলের জন্য থাকছে আধুনিক মানের হোটেল, বিশ্বমানের অনুশীলন সুবিধা।
এক একটি স্টেডিয়ামের সমান আয়তনের ফ্যান জোন নির্মান করা হচ্ছে দর্শকদের জন্য। আর এইসব খাতেই খরচ পড়েছে প্রায় সাত লাখ কোটি টাকা।দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল খাত যোগাযোগ ব্যবস্থা।বিশ্বকাপের সময় কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আকাশ পথে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি আমুল পরিবর্তন এনেছে দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থায়।দোহা মেট্রো, লাইট রেইল ট্রাম প্রকল্পের পাশাপাশি আসর চলাকালে থাকবে কয়েক হাজার বিশেষ বাস।বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বিমানবন্দরে আলাদা টার্মিনালও তৈরি করেছে কাতার। সবমিলে এ খাতে খরচ ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা।
অর্থব্যয়ের আরেকটি বড় অংশজুড়ে আছে আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মান। যে প্রকল্পে দেশটিকে গুনতে হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা।